logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২২ এপ্রিল: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২২ এপ্রিল: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২২ এপ্রিল: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আশ্চর্যজনকভাবে নিম্নগামী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। যদিও এটি খুব বেশি আশ্চর্যজনক ছিল না, কারণ যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল, এবং সামষ্টিক প্রতিবেদনের সাহায্য ছাড়াই এখন পাউন্ডের দরপতন হওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে, মূল্য 1.2387 এর লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, তাই মনে হতে পারে যে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট টিকে থাকবে। যাইহোক, গত সপ্তাহের শেষ 6-7 ঘন্টার মধ্যে, এই পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নগামী মুভমেন্ট গঠিত হয় এবং মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে যায়। তাই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আরও কমতে পারে।

দিনের একমাত্র প্রতিবেদন ব্রিটিশ পাউন্ডকে সমর্থন করেনি। যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল বেশ শক্তিশালী ছিল। উপরন্তু, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড ফেডারেল রিজার্ভের আগেই আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু করতে পারে, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে যখন এটি যুক্তরাজ্যে কমছে। অতএব, আমরা মনে করি যে কোন পরিস্থিতিতে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২২ এপ্রিল: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। রাতের বেলা, মূল্য 1.2387 এর লেভেলে থেকে বাউন্স করেছিল, কিন্তু ইউরোপীয় সেশনের শুরুর সময়, এই পেয়ারের মূল্য তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি দেখাতে সক্ষম হয়েছিল। অতএব, নতুন ট্রেডাররা এই সিগন্যাল মিস করতে পারে। যাইহোক, মার্কিন সেশনের সময়, 1.2457 লেভেল থেকে মূল্যের রিবাউন্ড ছিল, যার পরে মূল্য 1.2372-1.2387 রেঞ্জে নেমে আসে। ট্রেডাররা এই সিগন্যাল কার্যকর করলে প্রায় 60 পিপস উপার্জন করতে পারত।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা গঠনের চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্য 1.2502 এর লেভেলের নিচে ব্রেকের পর, ট্রেডাররা পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের আশা করতে পারে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি।

আজ, নতুন ট্রেডাররা 1.2372-1.2387 রেঞ্জের নিচে নতুন সেল সিগন্যাল খুঁজতে পারেন। মার্কেটে এই পেয়ার বিক্রি করার তাড়া নেই, তবে সময়ের সাথে পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে, যা একটি ভাল লক্ষণ। এই সপ্তাহে খুব বেশি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার আশা করছি, এবং আমরা প্রতিদিন প্রবণতার ভিত্তিতে মুভমেন্ট দেখতে পাব না।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ বা গৌণ ইভেন্টের পরিকল্পনা নেই। খুব সম্ভবত, আমরা আরেকটি "বিরক্তিকর সোমবারের" অপেক্ষায় আছি।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account